আবির ভাই, আপনি এমন হাফ ফেন্ট পইরা রাখছেন কেন?হাটুতে ব্যাথা পাইছেন নাকি! আমাদের ক্লাসের শুভ একবার হাটুতে ব্যাথা পাইছিল। তখন ওই হাফ ফেন্ট পইরা স্কুলে আইছিল কয়েকদিন ।"কথা গুলো এক শ্বাসে বলে ফেলল রাবেয়া।
আবির রাবেয়ার কথার উত্তরে বলল "আরে নাহ, ব্যাথা পাই নি। এমনি পরছি "
আসলে গত কয়েকদিন ধরে যা গরম পরছে! বাসায় ট্রাউজার পরেও গরম লাগছিল তাই টু কোয়ার্টার পরা শুরু করেছে আবির ।বাসার বাইরে ছোট খাট কোন কাজে বের হলেও ট্রাউজার পরেই বের হয় আর রুমে টো কোয়ার্টার পরে থাকে ।
রাবেয়া চারদিন পর আজকে আবিরদের বাসায় এসেছে । রাবেয়া হল আবিরদের কাজের বুয়া রহিমার মেয়ে।রাবেয়া প্রাইমারি স্কুলে ক্লাস ফোর এ পড়ে। রাবেয়া কয়েকদিন পর পর মায়ের সাথে আবিরদের বাসায় আসে। রহিমা পাচ বছর ধরে তাদের বাসায় কাজ করছে।তাই রহিমা বিশ্বস্ত লোক আবিরদের পরিবারে। রহিমাকে রুম মোছার কাজের জন্য ঠিক করা হলেও এখন রহিমা প্রায় সব কাজই করে। আর রাবেয়া কয়েকদিন পর পর রহিমার সাথে এসে বারান্দার ফুল গাছের টবে পানি দেয় নাহলে টিভি দেখে আবার মাঝে মাঝে আবিরের আম্মুর মাথায় তেল দিয়ে দেয়। রাবেয়া প্রচুর কথা বলে। বাসায় আসলেই সারাহ্মন বক বক করতেই থাকবে।সে নিজের কথা নিজে নিজেই বলে যাবে।
রাবেয়া আবিরের রুমের সামনে দিয়ে বারান্দায় পানি নিয়ে যাওয়ার সময় বলতে লাগল "আবির ভাই, ইদ কই করবেন?
-ঢাকা তে ই
-আমরা ও। কিন্তু ইদের পরের দিন আমরা সিলেট ঘুরতে যামু।সিলেটে আমার এক খালা থাকে। খালার মেয়ের বিয়া খাইবার যামু।
আবির লেপটপ এ মুভি দেখছিল আর রাবেয়ার কথায় বিরক্ত হচ্ছিল।আবিরের আবার অল্পতে রেগে যাওয়ার অভ্যাস আছে । আবিরের কিছু ভাল গুন ও আছে। তবে, আবির কখনও কোন ভাল কাজ করার সময় দ্বিতীয় বার চিন্তা করে না।
আবিরের বিরক্ত হওয়ার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছিল মিম । সকাল থেকে মিম আবিরের ফোন ধরছে না। গতকাল সন্ধ্যায় আবির আর মিম দুইজনে একসাথে রেস্টুরেন্ট এ ইফতার করেছিল।ইফতার করার সময় মিম আগ্রহের সাথে বলছিল "জানো, ফারিয়ার বয়ফ্রেন্ড ফারিয়াকে ইদে আট হাজার টাকা দিয়ে গাউন কিনে দিসে সারপ্রাইজ হিসেবে । "
আবির কথায় জোর দিয়ে বলল "তোমাকে তো কয়েকদিন আগে লিপস্টিক, অরনামেন্টস কিনে দিলাম। আর শোন মিম, ওদের মধ্যে তো গেট এন্ড গিব সম্পর্ক। তাই সারপ্রাইজ দিতেই পারে।সারপ্রাইজ দিয়ে যত বেশি ইম্প্রেশ করা যায় তত বেশিই লাভ ওই ধরনে রিলেশনে।"
মিম কিছুটা রেগে গিয়ে বলল "তোমাকে বলছে! আচ্ছা, আমাদের দুইজনের মধ্যে কি সম্পর্ক তাহলে ?? "
-আমাদের মধ্যে ওদের মত সম্পর্ক না। আমাদের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক ।
-আবির, তুমি একটু বেশি বোঝ !
গতকাল ইফতার করার সময় আবির আর কোন কথা বাড়ায় নি। মিম প্রত্যেকবার বাসায় পৌঁছে ফোন দিত । কিন্তু গতকাল রাতে বাসায় গিয়ে ফোন দেয়নি আবার আবিরের ফোন ও ধরেনি মিম।
-বারান্দার ফুল গাছের টবে পানি দিয়ে যাওয়ার সময় রাবেয়া আবার বলতে লাগল "গত কাল মার্কেট এ গেছিলাম মার সাথে । মার্কেট এ এত ভির! একটা সাদা জামা অনেক পছন্দ হইছিল।দাম চায় অনেক বেশি। ইদ দেইহা দাম বাড়াই দিসে। দাম বলে নয়শ টাকা। আম্মার কাছে ছিল তিনশ টাকা। তাই জামাডা কিনতে পারলাম না। আম্মারে কইছি ইদের পরে দাম কমলেই কিনমু নি। তবে চাঁদ রাইতে একবার মার্কেট যাব ভাবতেসি। চাঁদ রাতে নাকি একহাজার টাকার কাপড় দুইশ টাকায় বেইচা দেয় দোকানদারেরা। আমার ক্লাসের জেরিন এর খালাম্মা নাকি প্রতি ইদে চাদ রাতে মার্কেট করে।"
-রাবেয়া কথা গুলা খুব সহজ ভাবে বলে ফেললেও বোঝা যাচ্ছিল রাবেয়ার মধ্যে সাদা জামা টা কিনতে না পারার চাপা কষ্ট আছে। রাবেয়াদের কত অল্প চাহিদা!আর এই অল্প চাহিদা পুরন না হলেও তাদের মধ্যে কত সরল স্বাভাবিকতা ?রাবেয়ার আসলে জানে তাদের সব চাহিদা পুরন হবে না। একসময় তাদের এই চাহিদা পুরন না হতে হতে সরল আড়ষ্টহীন স্বাভাবিকতা চলে আসে।
আবির হুট করে তার মানি ব্যাগ থেকে একহাজার টাকার একটা নোট বের করে রাবেয়ার হাতে দিয়ে বলল "এই নে একহাজার টাকা। চাদ রাতে মার্কেট যাওয়া লাগবে না তোর। তুই কাল তোর মাকে নিয়ে মার্কেট গিয়ে ওই সাদা জামাটা কিনে নিস। " আবির এই একহাজার টাকাসহ আরো কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছিল মিম কে নিয়ে ইদের দিন বিকালে ঘুরতে যাবার জন্য। রাবেয়া আবিরের হঠাত এই কর্মকাণ্ডে শুধু অবাক ই হল না সাথে সাথে বড় সড় শকও খেল । আবির রাবেয়ার অবাক হওয়া মুখ দেখে খানিকটা আনন্দিত হল কিন্তু প্রকাশ করল না। আবির আবার রাবেয়াকে ধমক এর স্বরে বলল "কিরে? দাড়িয়ে আছিস কেন?শোন, ইদের দিন জামাটা পড়ে আমাদের বাসায় আসিস, ঠিক আছে?"
টাকাটা পাওয়ার পর রাবেয়ার অবাক মুখ, বিস্ময় ভরা চোখ আর ঠোটের কোনায় একটুকরো হাসির রেখা দেখে আবিরের মন ভাল হয়ে যায়। খানিকহ্মনের জন্য ভুলে যায় মিমের কথা,ইদের দিন বিকালে মিম কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা । আবির ভুলে যায় দামি গিফট না পেয়ে গার্লফ্রেন্ড মিম এর ফ্যাকাসে চেহারা।রাবেয়ার চেহারায় আনন্দের ছাপ দেখে আবিরের মনে হতে লাগল আবির হাজার বছরের দুর্লভ কোন আশ্চর্য কিছুহ্মন এর জন্য তার চোখের সামনে দেখল ।আবির ভাবতে লাগল যান্ত্রিক কোলাহল আর মানুষের সৃষ্ট কৃত্তিম জঞ্জাল এর মাঝে রাবেয়ার সহজ সরল মুখে যে আনন্দ দেখেছিল, মিম কে কত দামী গিফট দিয়েও তো সে এমন খুশি করতে পারে নি!
Bangla Romantic Premer Golpo
লেখক- হাসিবুর রহমান ইমন
আবির রাবেয়ার কথার উত্তরে বলল "আরে নাহ, ব্যাথা পাই নি। এমনি পরছি "
আসলে গত কয়েকদিন ধরে যা গরম পরছে! বাসায় ট্রাউজার পরেও গরম লাগছিল তাই টু কোয়ার্টার পরা শুরু করেছে আবির ।বাসার বাইরে ছোট খাট কোন কাজে বের হলেও ট্রাউজার পরেই বের হয় আর রুমে টো কোয়ার্টার পরে থাকে ।
রাবেয়া চারদিন পর আজকে আবিরদের বাসায় এসেছে । রাবেয়া হল আবিরদের কাজের বুয়া রহিমার মেয়ে।রাবেয়া প্রাইমারি স্কুলে ক্লাস ফোর এ পড়ে। রাবেয়া কয়েকদিন পর পর মায়ের সাথে আবিরদের বাসায় আসে। রহিমা পাচ বছর ধরে তাদের বাসায় কাজ করছে।তাই রহিমা বিশ্বস্ত লোক আবিরদের পরিবারে। রহিমাকে রুম মোছার কাজের জন্য ঠিক করা হলেও এখন রহিমা প্রায় সব কাজই করে। আর রাবেয়া কয়েকদিন পর পর রহিমার সাথে এসে বারান্দার ফুল গাছের টবে পানি দেয় নাহলে টিভি দেখে আবার মাঝে মাঝে আবিরের আম্মুর মাথায় তেল দিয়ে দেয়। রাবেয়া প্রচুর কথা বলে। বাসায় আসলেই সারাহ্মন বক বক করতেই থাকবে।সে নিজের কথা নিজে নিজেই বলে যাবে।
রাবেয়া আবিরের রুমের সামনে দিয়ে বারান্দায় পানি নিয়ে যাওয়ার সময় বলতে লাগল "আবির ভাই, ইদ কই করবেন?
-ঢাকা তে ই
-আমরা ও। কিন্তু ইদের পরের দিন আমরা সিলেট ঘুরতে যামু।সিলেটে আমার এক খালা থাকে। খালার মেয়ের বিয়া খাইবার যামু।
![]() |
Bangla Romantic Premer Golpo Bangla Valobashar Golpo, Bangla |
আবির লেপটপ এ মুভি দেখছিল আর রাবেয়ার কথায় বিরক্ত হচ্ছিল।আবিরের আবার অল্পতে রেগে যাওয়ার অভ্যাস আছে । আবিরের কিছু ভাল গুন ও আছে। তবে, আবির কখনও কোন ভাল কাজ করার সময় দ্বিতীয় বার চিন্তা করে না।
আবিরের বিরক্ত হওয়ার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছিল মিম । সকাল থেকে মিম আবিরের ফোন ধরছে না। গতকাল সন্ধ্যায় আবির আর মিম দুইজনে একসাথে রেস্টুরেন্ট এ ইফতার করেছিল।ইফতার করার সময় মিম আগ্রহের সাথে বলছিল "জানো, ফারিয়ার বয়ফ্রেন্ড ফারিয়াকে ইদে আট হাজার টাকা দিয়ে গাউন কিনে দিসে সারপ্রাইজ হিসেবে । "
আবির কথায় জোর দিয়ে বলল "তোমাকে তো কয়েকদিন আগে লিপস্টিক, অরনামেন্টস কিনে দিলাম। আর শোন মিম, ওদের মধ্যে তো গেট এন্ড গিব সম্পর্ক। তাই সারপ্রাইজ দিতেই পারে।সারপ্রাইজ দিয়ে যত বেশি ইম্প্রেশ করা যায় তত বেশিই লাভ ওই ধরনে রিলেশনে।"
মিম কিছুটা রেগে গিয়ে বলল "তোমাকে বলছে! আচ্ছা, আমাদের দুইজনের মধ্যে কি সম্পর্ক তাহলে ?? "
-আমাদের মধ্যে ওদের মত সম্পর্ক না। আমাদের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক ।
-আবির, তুমি একটু বেশি বোঝ !
গতকাল ইফতার করার সময় আবির আর কোন কথা বাড়ায় নি। মিম প্রত্যেকবার বাসায় পৌঁছে ফোন দিত । কিন্তু গতকাল রাতে বাসায় গিয়ে ফোন দেয়নি আবার আবিরের ফোন ও ধরেনি মিম।
-বারান্দার ফুল গাছের টবে পানি দিয়ে যাওয়ার সময় রাবেয়া আবার বলতে লাগল "গত কাল মার্কেট এ গেছিলাম মার সাথে । মার্কেট এ এত ভির! একটা সাদা জামা অনেক পছন্দ হইছিল।দাম চায় অনেক বেশি। ইদ দেইহা দাম বাড়াই দিসে। দাম বলে নয়শ টাকা। আম্মার কাছে ছিল তিনশ টাকা। তাই জামাডা কিনতে পারলাম না। আম্মারে কইছি ইদের পরে দাম কমলেই কিনমু নি। তবে চাঁদ রাইতে একবার মার্কেট যাব ভাবতেসি। চাঁদ রাতে নাকি একহাজার টাকার কাপড় দুইশ টাকায় বেইচা দেয় দোকানদারেরা। আমার ক্লাসের জেরিন এর খালাম্মা নাকি প্রতি ইদে চাদ রাতে মার্কেট করে।"
-রাবেয়া কথা গুলা খুব সহজ ভাবে বলে ফেললেও বোঝা যাচ্ছিল রাবেয়ার মধ্যে সাদা জামা টা কিনতে না পারার চাপা কষ্ট আছে। রাবেয়াদের কত অল্প চাহিদা!আর এই অল্প চাহিদা পুরন না হলেও তাদের মধ্যে কত সরল স্বাভাবিকতা ?রাবেয়ার আসলে জানে তাদের সব চাহিদা পুরন হবে না। একসময় তাদের এই চাহিদা পুরন না হতে হতে সরল আড়ষ্টহীন স্বাভাবিকতা চলে আসে।
আবির হুট করে তার মানি ব্যাগ থেকে একহাজার টাকার একটা নোট বের করে রাবেয়ার হাতে দিয়ে বলল "এই নে একহাজার টাকা। চাদ রাতে মার্কেট যাওয়া লাগবে না তোর। তুই কাল তোর মাকে নিয়ে মার্কেট গিয়ে ওই সাদা জামাটা কিনে নিস। " আবির এই একহাজার টাকাসহ আরো কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছিল মিম কে নিয়ে ইদের দিন বিকালে ঘুরতে যাবার জন্য। রাবেয়া আবিরের হঠাত এই কর্মকাণ্ডে শুধু অবাক ই হল না সাথে সাথে বড় সড় শকও খেল । আবির রাবেয়ার অবাক হওয়া মুখ দেখে খানিকটা আনন্দিত হল কিন্তু প্রকাশ করল না। আবির আবার রাবেয়াকে ধমক এর স্বরে বলল "কিরে? দাড়িয়ে আছিস কেন?শোন, ইদের দিন জামাটা পড়ে আমাদের বাসায় আসিস, ঠিক আছে?"
টাকাটা পাওয়ার পর রাবেয়ার অবাক মুখ, বিস্ময় ভরা চোখ আর ঠোটের কোনায় একটুকরো হাসির রেখা দেখে আবিরের মন ভাল হয়ে যায়। খানিকহ্মনের জন্য ভুলে যায় মিমের কথা,ইদের দিন বিকালে মিম কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা । আবির ভুলে যায় দামি গিফট না পেয়ে গার্লফ্রেন্ড মিম এর ফ্যাকাসে চেহারা।রাবেয়ার চেহারায় আনন্দের ছাপ দেখে আবিরের মনে হতে লাগল আবির হাজার বছরের দুর্লভ কোন আশ্চর্য কিছুহ্মন এর জন্য তার চোখের সামনে দেখল ।আবির ভাবতে লাগল যান্ত্রিক কোলাহল আর মানুষের সৃষ্ট কৃত্তিম জঞ্জাল এর মাঝে রাবেয়ার সহজ সরল মুখে যে আনন্দ দেখেছিল, মিম কে কত দামী গিফট দিয়েও তো সে এমন খুশি করতে পারে নি!
Bangla Romantic Premer Golpo
লেখক- হাসিবুর রহমান ইমন
Bangla Romantic Premer Golpo
Reviewed by Bangla Web
on
June 02, 2019
Rating:

New Bangla Choti Golpo, ভাইয়ের শালী চোদা
ReplyDelete